মাত্র ২ মিনিট ব্যয় করে ভিডিওটি দেখ বোন!! নিজের অজান্তে কতবড় ভুল করে চলেছো

  • 4 years ago
গতকাল একটা কাজে কাঁটাবনের দিকে যাচ্ছিলাম। কাঁটাবনে কিছু দোকান আছে ক্রেস্ট, ট্রফি, চায়ের মগ ইত্যাদি অর্ডার দিয়ে বানানো হয়। সেরকম একটা দোকান থেকে দুইজন যুবক একটা মগ নিয়ে বেরোল। মগ হাতের যুবক অন্য যুবককে মগের ছবিটা দেখিয়ে বলল, “এই মাইয়াটারে চিনিস? অমুকের গার্লফ্রেন্ড”! অমুকের গার্লফ্রেন্ডের ছবি চায়ের মগে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রফেশনালি মডেলিং নয়, হয়ত মোবাইলে তোলা ছবি কিংবা ফেসবুকে আপলোড করা ছবি।



আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটা সহজ মনে হলেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব অত্যান্ত ভয়ংকর। কিছুদিন আগে একটা নিউজ পড়েছিলাম ভারতীয় এক মেয়ের ঘটনা নিয়ে। ইন্টারনেটে আপলোড করা তার ছবি নিয়ে কে বা কারা সেগুলো একটা পর্ণ সাইটে কল গার্লদের লিস্টে দিয়ে দেয়। সেটা যখন এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় আত্মসম্মানের চরম অপমান সইতে না পেরে মেয়েটিসহ তার পুরো পরিবার আত্মহত্যা করে।যাদের নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আছে তারা হয়ত দেখে থাকবেন, ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল, নোংরা ছবি ছড়িয়ে পড়ায় অমুকের আত্মহত্যা এই ঘটনাগুলো অহরহ ঘটছে। ফটোশপের এই স্বর্ণযুগে একটি সাদাসিধে ছবিকে নোংরা ছবি বানিয়ে বিশ্রী ক্যান্ড ঘটানো আজ কোন ব্যাপারই না, এমনকি বোঝার উপায়ই থাকেনা যে ছবিটা আসল না নকল!



ইন্টারনেটে বিশেষ করে ফেসবুকে আমাদের বোনেদের নিজের ছবি আপলোডের হিড়িক দেখলে তাই মাঝে মাঝে আঁতকে উঠি। কি ভয়ংকর ফিতনার দরজাই না আমার বোনেরা খুলে দিচ্ছে অনায়াসেই। জাহেল মেয়েরা এসব করে বেড়াবে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু তাদের দেখাদেখি আমাদের হিজাবি বোনেরা নিজের ছবি মানুষজনের সামনে উন্মুক্ত করবে এর চেয়ে হতাশার মনে হয় আর কিছু হয়না। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অতি উৎসাহী ছেলেদের আমি চোখের সামনে দেখেছি ফেসবুক থেকে হিজাবিদের ছবি মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখতে এবং তা বন্ধু বান্ধবদের দেখিয়ে বেড়াতে।



আরেকটা trend দেখা যায় হিজাবি বোনেরা ফেসবুকে জাহেল কায়দার ছবি না দিলেও বেশ ফিতনাময় কায়দায় নিজেদের চোখের ছবি সাথে “চোখে রাখ চোখ” টাইপ ক্যাপশন দিয়ে অনায়াসেই ফেসবুকে আপলোড করে যাচ্ছে। এটা আরও ভয়ংকর। এটা ফিতনার দিকে নোংরা এক ধরনের আহবানের মত। আমরা যদি কুরআনে নারী পুরুষের জন্য পর্দার আয়াতগুলো খেয়াল করি তাহলে দেখব আল্লাহ মুমিন মুমিনাদের প্রথমেই বলেছেন দৃষ্টি অবনত করতে।কেননা সমস্ত জিনার শুরু হয় দৃষ্টি থেকে। যে নিজের চোখের হেফাজত করতে পারে তার জন্য অশ্লীলতা, জিনার মত ব্যাপারগুলো থেকে হেফাজতে থাকার কাজটা সহজ হয়ে যায়। আর সেখানে আমাদের বোনেরা যদি সেই চোখকেই পুরুষের লুলুপ দৃষ্টির জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে ফিতনার চূড়ান্ত ভয়াবহতার দিকেই তা রুপ নিবে।





“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে……” [সূরা নুরঃ ৩০]



“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে…..” [সূরা নুরঃ ৩১]



আবার কিছু বোন আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেদের ঠোঁটের ছবি আপলোড করে চূড়ান্ত রকম জাহিলিপনার পরিচয় বহন করে। হয়ত ব্যাপারগুলো অজ্ঞতার কারণে কিংবা ফিতনার স্বরূপ বুঝতে না পারার কারনেই হয়ে থাকে। কিন্তু এই বিষয়গুলোতে আমাদের অভিভাবকদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। ইসলামি ফ্যামিলি হলেও মেয়ে ফেসবুকে কি করছে, যা করছে তা ইসলাম সমর্থন করে কিনা তার খবরাখবর রাখা, ভুল কিছু করলে তা শুধরে দেওয়া, ইসলামের রুলিং জানানো অভিভাবকদের দায়িত্ব। আশা করি এই দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়ে কেউ দাইয়ুস হয়ে জাহান্নামের বাসিন্দা হতে চাইবেন না আর আমাদের হিজাবি বোনেরাও ফিতনার দরোজা উন্মুক্ত করে শয়তানকে সুযোগ দিতে চাইবেন না

Category

📚
Learning

Recommended