#satkhirajamidarbari #jomidarbari #satkhira
Subscribe করুন- https://www.youtube.com/channel/UCX3U...
শ্যামনগর জমিদার বাড়ি:-
শ্যামপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা স্থানীয়দের কাছে রায় চৌধুরীর বাড়ি, জমিদার হরিচরণ রায়ের বাড়ি,নকিপুর জমিদার বাড়ি ও বাবুর বাড়ী নামে পরিচিত। তৈরি করা হয়েছে-১৮শ শতকের মাঝামাঝি, বন্ধ করা হয়েছে -১৯৪৭,পদার্থ-ইট,সুরকি,রড,তলার সংখ্যা-০২, তলার আয়তন-১৯ মিঃ, কক্ষ- ৪১ টি।হরিচরণ রায় চৌধুরী ছিলেন একজন প্রভাবশালী জমিদার। এ বাড়িতে প্রতি বছর জাঁকজমক করে দুর্গোৎসব পালিত হতো। দুর্গা পূজার জন্য ছিলো স্থায়ী পাকা প্যান্ডেল, যা এখন বিলীন হয়ে গেছে। যার ৩০ গজ পশ্চিমে দিঘির পাড়ে যে নহবতখানা ছিলো সেটি থেকে ইট, শুরকি খসে খসে পড়ছে, অনেকটা এরই মধ্যে নষ্টও হয়ে গেছে।হরিচরণ রায় চৌধুরীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি জলাশয় ছিলো। যার চারদিকে দখলের পর ভরাট করে গড়ে উঠেছে ঘড়বাড়ি। তবে এখনও পুকুরের মতো ছোট জলাশয়টি দেখা যায়। এই জলাশয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে এক চূড়াবিশিষ্ট দু’টি শিব মন্দির ছিলো। এই জোড়া শিব মন্দিরের কাছের বকুল গাছটি অবশ্য আজও রয়েছে। তবে শিব মন্দিরের অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর। মন্দিরের গায়ের ইট শুড়কি আগেই খসতে শুরু করেছে। বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি।জমিদার বাড়ির অন্দরমহলে যে পুকুর ছিলো সেখানে এখন খেলার মাঠ আর জমিদার বাড়ির দাতব্য চিকিৎসালয় এখন রহমান শেখের বাড়ি।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির বাড়িটির এখন শুধু মূল ভবনের কিছু অংশ রয়েছে। বাকিটা ক্রমেই স্থানীয়দের কাজে ব্যবহার হচ্ছে।জমিদার বাড়ির ছাদ কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল টালি ও কাঠের আঁড়া। সেই টালিগুলো এখন খসে খসে পড়ছে, আঁড়াগুলো অনেক সরকারি কর্মকর্তার বাড়ির ফার্নিচারে পরিণত হয়েছে। বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি।
জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরীর নায়েব ছিলেন শিবপদ চক্রবর্তী। তার ছেলে শক্তি শেখর চক্রবর্তী এখন তিন নম্বর শ্যামনগর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর।
শক্তি শেখর চৌধুরী জানান, এই এলাকার পুরোটাই ছিলো রাজা রায় বাহাদুরের। এই জমিদার বাড়িতে আগে রেভিনিউ অফিস ছিলো। তখন যে অফিসার এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনিই বাড়ির কাঠ, খাটসহ অন্যান্য ফার্নিচার চুরি করেন। যা ছিল শাল-সেগুন গাছের।
বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি। তিনি বলেন, স্থানীয়রা জমিদারের বিশাল বাড়ির ইটগুলো একটি একটি করে নিয়ে যাচ্ছে। সব চুরি হয়ে যায়। কিন্তু দেখার কেউ নেই। আশপাশ দিয়ে যা কিছু ছিলো সেগুলো এখন অনেকটাই অতীত।
একই গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ন কবির জানান, জমিদার বাড়ির সবকিছু চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই বাড়িটি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করার পর এটাকে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা দরকার।
প্রায় ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরী এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই এলাকার একজন প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়িতে প্রতিবছর দুর্গা পূজা হতো। যার জন্য বিশেষভাবে একটা পাকা প্যান্ডেল তৈরি করা ছিল। জমিদার হরিচরণ রায় ধনী হওয়ার পেছনে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে তার মা ঘুমের মধ্য স্বপ্নে বস্তা বস্তা টাকা বা গুপ্তধনের সন্ধান পেতেন। আর এই থেকেই হরিচরণ অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হন। তখন থেকে সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে নিলামে উঠা চৌহার্দিগুলো তিনি কিনে নিতেন। যার ফলস্বরূপ পরবর্তীতে তিনি একজন স্বতন্ত্র জমিদার হয়ে উঠেন।
জমিদার বাড়িটিতে দুই তলা বিশিষ্ট্য ইংরেজি
Subscribe করুন- https://www.youtube.com/channel/UCX3U...
শ্যামনগর জমিদার বাড়ি:-
শ্যামপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা স্থানীয়দের কাছে রায় চৌধুরীর বাড়ি, জমিদার হরিচরণ রায়ের বাড়ি,নকিপুর জমিদার বাড়ি ও বাবুর বাড়ী নামে পরিচিত। তৈরি করা হয়েছে-১৮শ শতকের মাঝামাঝি, বন্ধ করা হয়েছে -১৯৪৭,পদার্থ-ইট,সুরকি,রড,তলার সংখ্যা-০২, তলার আয়তন-১৯ মিঃ, কক্ষ- ৪১ টি।হরিচরণ রায় চৌধুরী ছিলেন একজন প্রভাবশালী জমিদার। এ বাড়িতে প্রতি বছর জাঁকজমক করে দুর্গোৎসব পালিত হতো। দুর্গা পূজার জন্য ছিলো স্থায়ী পাকা প্যান্ডেল, যা এখন বিলীন হয়ে গেছে। যার ৩০ গজ পশ্চিমে দিঘির পাড়ে যে নহবতখানা ছিলো সেটি থেকে ইট, শুরকি খসে খসে পড়ছে, অনেকটা এরই মধ্যে নষ্টও হয়ে গেছে।হরিচরণ রায় চৌধুরীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি জলাশয় ছিলো। যার চারদিকে দখলের পর ভরাট করে গড়ে উঠেছে ঘড়বাড়ি। তবে এখনও পুকুরের মতো ছোট জলাশয়টি দেখা যায়। এই জলাশয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে এক চূড়াবিশিষ্ট দু’টি শিব মন্দির ছিলো। এই জোড়া শিব মন্দিরের কাছের বকুল গাছটি অবশ্য আজও রয়েছে। তবে শিব মন্দিরের অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর। মন্দিরের গায়ের ইট শুড়কি আগেই খসতে শুরু করেছে। বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি।জমিদার বাড়ির অন্দরমহলে যে পুকুর ছিলো সেখানে এখন খেলার মাঠ আর জমিদার বাড়ির দাতব্য চিকিৎসালয় এখন রহমান শেখের বাড়ি।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির বাড়িটির এখন শুধু মূল ভবনের কিছু অংশ রয়েছে। বাকিটা ক্রমেই স্থানীয়দের কাজে ব্যবহার হচ্ছে।জমিদার বাড়ির ছাদ কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল টালি ও কাঠের আঁড়া। সেই টালিগুলো এখন খসে খসে পড়ছে, আঁড়াগুলো অনেক সরকারি কর্মকর্তার বাড়ির ফার্নিচারে পরিণত হয়েছে। বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি।
জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরীর নায়েব ছিলেন শিবপদ চক্রবর্তী। তার ছেলে শক্তি শেখর চক্রবর্তী এখন তিন নম্বর শ্যামনগর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর।
শক্তি শেখর চৌধুরী জানান, এই এলাকার পুরোটাই ছিলো রাজা রায় বাহাদুরের। এই জমিদার বাড়িতে আগে রেভিনিউ অফিস ছিলো। তখন যে অফিসার এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনিই বাড়ির কাঠ, খাটসহ অন্যান্য ফার্নিচার চুরি করেন। যা ছিল শাল-সেগুন গাছের।
বিলীনের পথে রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি। তিনি বলেন, স্থানীয়রা জমিদারের বিশাল বাড়ির ইটগুলো একটি একটি করে নিয়ে যাচ্ছে। সব চুরি হয়ে যায়। কিন্তু দেখার কেউ নেই। আশপাশ দিয়ে যা কিছু ছিলো সেগুলো এখন অনেকটাই অতীত।
একই গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ন কবির জানান, জমিদার বাড়ির সবকিছু চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই বাড়িটি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করার পর এটাকে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা দরকার।
প্রায় ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরী এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই এলাকার একজন প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়িতে প্রতিবছর দুর্গা পূজা হতো। যার জন্য বিশেষভাবে একটা পাকা প্যান্ডেল তৈরি করা ছিল। জমিদার হরিচরণ রায় ধনী হওয়ার পেছনে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে তার মা ঘুমের মধ্য স্বপ্নে বস্তা বস্তা টাকা বা গুপ্তধনের সন্ধান পেতেন। আর এই থেকেই হরিচরণ অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হন। তখন থেকে সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে নিলামে উঠা চৌহার্দিগুলো তিনি কিনে নিতেন। যার ফলস্বরূপ পরবর্তীতে তিনি একজন স্বতন্ত্র জমিদার হয়ে উঠেন।
জমিদার বাড়িটিতে দুই তলা বিশিষ্ট্য ইংরেজি
Category
😹
Fun