Hajari Gur Goes Back To The Era Of Queen Elizabeth | ঐতিহ্যবাহী হাজারি গুড় | মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকা গুড়ের জন্য বিখ্যাত। ঝিটকার হাজারী ও পাটালী গুড়’ বাংলার শেষ সুবেদার নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা’র আমল থেকেই সুনাম বহন করে আসছে। এমনকি এই হাজারী গুড় তৎকালীন দিল্লীর বাদশা ও ইংল্যান্ডের রানীকে উপহার হিসেবে পাঠানো হতো।
হাজারী গুড় নিয়ে যে সকল মিথ প্রচলিত আছে-
মিথ-১
প্রায় ২০০ বছর আগে ঝিটকা অঞ্চলে হাজারি প্রামাণিক নামে একজন গাছি ছিলেন যিনি খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করতেন। একদিন বিকালে খেজুরগাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে গাছ থেকে নামামাত্রই একজন দরবেশ এসে তার কাছে রস খেতে চান। তখন ওই গাছি দরবেশকে বলেন, সবে গাছে হাঁড়ি বসানো হয়েছে। এ অল্প সময়ে বড়জোর ১০-১৫ ফোঁটা রস হাঁড়িতে পড়েছে। তবুও দরবেশ রস খাওয়ার আকুতি জানান এবং তাকে গাছে উঠে হাঁড়ি নামাতে বলেন। গাছি তখন খেজুরগাছে উঠে হতবাক হয়ে যান। দেখতে পান, মাত্র কয়েক মিনিটে পুরো হাঁড়ি রসে ভরে গেছে। গাছি হাঁড়িভরা রস নিয়ে নিচে নেমে দরবেশকে রস খাওয়ান এবং তার পা জড়িয়ে ধরেন। তখন দরবেশ গাছিকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘কাল থেকে তুই যে গুড় তৈরি করবি তা সবাই খাবে এবং তোর গুড়ের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে।’ বলেই দরবেশ দ্রুত চলে যান। ওই দিন থেকে হাজারী প্রামাণিকের নামেই এ গুড়ের ‘হাজারি’ নামকরণ হয়।
মিথ-০২
গাছের রস থেকে বিশেষ কৌশলে সুগন্ধময় সফেদ এ গুড়ের উদ্ভাবন করেছিলেন হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন হাজারী। প্রকৃত হাজারী গুড় তৈরির গোপন কৌশল একমাত্র তার পরিবারের সদস্যদের মাঝেই রয়ে গেছে। তার নামেই এই গুড়ের নামকরণ হয়েছে ‘হাজারী গুড়’। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জনশ্রুতি হলো, ব্রিটিশ আমলে রানী এলিজাবেথ ভারতবর্ষ সফরকালে রানীর খাবার টেবিলে দেওয়া হয়েছিল এই গুড়। রানী কৌতূহলবশত হাতে নাড়াচাড়া করে একটু চাপ দিতেই গুড়ের দলা ভেঙে হাজার টুকরা হয়ে গেলো। এই গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রাণে মুগ্ধ হয়ে রানী হাজারি নামে একটি সীলমোহর প্রদান করেন। আর সেই থেকে এর নাম হয় হাজারি গুড়।
হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা শিকদারপাড়া গ্রামের ৪২টি পরিবার এখন এই গুড় তৈরির সঙ্গে জড়িত। গ্রামের এই অংশটির নাম হাজারি পাড়া। জাহিদ হাজারিকে লোকে এক নামে চেনে।
শীতকালে ঝিটকা গ্রামের হাজারি পরিবারের ১৫-২০ জন গাছি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। এই পরিবারের দেখাদেখি ঝিটকা গ্রামের অন্য গাছিরাও হাজারি গুড় উৎপাদন করে থাকেন। তবে প্রকৃত হাজারি গুড় তৈরির মূলমন্ত্র একমাত্র তার পরিবারের সদস্যরাই জানেন বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত।
SUBSCRIBE | https://cutt.ly/akaTzas
Thanks for checking out the video. If you like it, please leave a comment, give it a thumbs up or like, share with your friends and subscribe please. All the best.
Join With Us.....
Website- http://www.bone.com.bd
Fcaebook- https://www.facebook.com/bonenetwork
Twitter-https://twitter.com/bone_network
Dailymotion- https://www.dailymotion.com/bonenetwork
Vimeo- https://vimeo.com/bonenetwork
Linkedin- https://www.linkedin.com/company/bone...
*WARNING ANTI PIRACY *
This Content Is Original And Copyright To B-one. Any Unauthorized Reproduction, Redistribution Or Re-upload Is Strictly Prohibited Of This Material. Legal Action Will Be Taken Against Those Who Violate The Copyright.
#bone
#HajariGur
#QueenElizabeth
হাজারী গুড় নিয়ে যে সকল মিথ প্রচলিত আছে-
মিথ-১
প্রায় ২০০ বছর আগে ঝিটকা অঞ্চলে হাজারি প্রামাণিক নামে একজন গাছি ছিলেন যিনি খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করতেন। একদিন বিকালে খেজুরগাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে গাছ থেকে নামামাত্রই একজন দরবেশ এসে তার কাছে রস খেতে চান। তখন ওই গাছি দরবেশকে বলেন, সবে গাছে হাঁড়ি বসানো হয়েছে। এ অল্প সময়ে বড়জোর ১০-১৫ ফোঁটা রস হাঁড়িতে পড়েছে। তবুও দরবেশ রস খাওয়ার আকুতি জানান এবং তাকে গাছে উঠে হাঁড়ি নামাতে বলেন। গাছি তখন খেজুরগাছে উঠে হতবাক হয়ে যান। দেখতে পান, মাত্র কয়েক মিনিটে পুরো হাঁড়ি রসে ভরে গেছে। গাছি হাঁড়িভরা রস নিয়ে নিচে নেমে দরবেশকে রস খাওয়ান এবং তার পা জড়িয়ে ধরেন। তখন দরবেশ গাছিকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘কাল থেকে তুই যে গুড় তৈরি করবি তা সবাই খাবে এবং তোর গুড়ের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে।’ বলেই দরবেশ দ্রুত চলে যান। ওই দিন থেকে হাজারী প্রামাণিকের নামেই এ গুড়ের ‘হাজারি’ নামকরণ হয়।
মিথ-০২
গাছের রস থেকে বিশেষ কৌশলে সুগন্ধময় সফেদ এ গুড়ের উদ্ভাবন করেছিলেন হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন হাজারী। প্রকৃত হাজারী গুড় তৈরির গোপন কৌশল একমাত্র তার পরিবারের সদস্যদের মাঝেই রয়ে গেছে। তার নামেই এই গুড়ের নামকরণ হয়েছে ‘হাজারী গুড়’। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জনশ্রুতি হলো, ব্রিটিশ আমলে রানী এলিজাবেথ ভারতবর্ষ সফরকালে রানীর খাবার টেবিলে দেওয়া হয়েছিল এই গুড়। রানী কৌতূহলবশত হাতে নাড়াচাড়া করে একটু চাপ দিতেই গুড়ের দলা ভেঙে হাজার টুকরা হয়ে গেলো। এই গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রাণে মুগ্ধ হয়ে রানী হাজারি নামে একটি সীলমোহর প্রদান করেন। আর সেই থেকে এর নাম হয় হাজারি গুড়।
হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা শিকদারপাড়া গ্রামের ৪২টি পরিবার এখন এই গুড় তৈরির সঙ্গে জড়িত। গ্রামের এই অংশটির নাম হাজারি পাড়া। জাহিদ হাজারিকে লোকে এক নামে চেনে।
শীতকালে ঝিটকা গ্রামের হাজারি পরিবারের ১৫-২০ জন গাছি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। এই পরিবারের দেখাদেখি ঝিটকা গ্রামের অন্য গাছিরাও হাজারি গুড় উৎপাদন করে থাকেন। তবে প্রকৃত হাজারি গুড় তৈরির মূলমন্ত্র একমাত্র তার পরিবারের সদস্যরাই জানেন বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত।
SUBSCRIBE | https://cutt.ly/akaTzas
Thanks for checking out the video. If you like it, please leave a comment, give it a thumbs up or like, share with your friends and subscribe please. All the best.
Join With Us.....
Website- http://www.bone.com.bd
Fcaebook- https://www.facebook.com/bonenetwork
Twitter-https://twitter.com/bone_network
Dailymotion- https://www.dailymotion.com/bonenetwork
Vimeo- https://vimeo.com/bonenetwork
Linkedin- https://www.linkedin.com/company/bone...
*WARNING ANTI PIRACY *
This Content Is Original And Copyright To B-one. Any Unauthorized Reproduction, Redistribution Or Re-upload Is Strictly Prohibited Of This Material. Legal Action Will Be Taken Against Those Who Violate The Copyright.
#bone
#HajariGur
#QueenElizabeth
Category
🛠️
Lifestyle