• 6 years ago
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাত আনুমানিক এগারোটা। ট্যাংক, মর্টার, মেশিনগান আর আধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী আর্মি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। আজ তারা গুড়িয়ে দেবে বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্নকে, গুলি করে স্তব্ধ করবে এ জাতিকে। কিন্তু না, রাজারবাগের সীমানায় পৌছানো মাত্র গর্জে ওঠে পুলিশের থ্রি নট থ্রি রাইফেল। স্বাধীনতার প্রথম সেই বুলেটেই লুটিয়ে পড়ে এক পাকিস্তানী সৈনিক। শুরু হয় যুদ্ধ, স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ। দু'পক্ষের গোলাগুলিতে রাজারবাগ তখন পরিণত হয় ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধক্ষেত্রে। পাকিস্তানী আর্মিদের মেশিনগান, মর্টার, কামান আর ট্যাংকের সামনে এতোটুকু পিছিয়ে আসেনি রাজারবাগের অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্যরা। স্বাধীনতার দীপ্ত শপথে বলীয়ান দেশপ্রেমিক বীর পুলিশ সদস্যরা স্বাধীনতা অন্বেষায় রাজারবাগের বুকে ঢেলে দিতে থাকে বুকের তাজা রক্ত।

প্রচলিত রীতিবিরুদ্ধ জেনেও কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেদিন রাজারবাগের পুলিশ ভেঙ্গে ফেলেছিল নিজেদের অস্ত্রাগার? নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কেন তারা শুধু সেকেলে থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সাহস করেছিলো আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে? বুক পেতে দিয়েছিলো দানব ট্যাংক, মর্টার আর মেশিনগানের সামনে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে না জানা অনেক সত্যের অনুসন্ধানী প্রামাণিক উপস্থাপন 'মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ' প্রামাণ্যচিত্র।

'মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ' প্রামাণ্যচিত্রটি দর্শকদের নিয়ে যাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় ভয়াল সেই রাতের রাজারবাগে, যেখানে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যদের বীরোচিত ভূমিকা, অসীম সাহসিকতা আর মহান আত্মত্যাগে সূচিত হয়েছিল স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ।

Category

🗞
News

Recommended